দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার যোগদান করেছেন। শুক্রবার (৪ জুন) বিকেলে ৪৮ তম ওসি হিসেবে তিনি যোগদান করেন। একই সময়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করে বিদায় নেন ওসি মজিবুর রহমান।
এসময় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল হাসান, সেকেন্ড অফিসার (এস আই নিঃ) শরিফুল ইসলামসহ থানার অফিসার, ফোর্স ও সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নবাগত ওসি থানায় পৌছালে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় বিদায়ী ওসি মজিবুর রহমান। নবাগত ওসি এর আগে জেলার খোকসা থানায় কর্মরত ছিলেন এবং বিদায়ী ওসি একই জেলার ভেড়ামারা থানায় যোগদান করেন।
এরআগে বিকেল সাড়ে ৩ টায় থানার অফিসার ও ফোর্সের পক্ষ্য থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ী সংবর্ধণা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় ওসি মজিবুর রহমানকে।
জানা যায়, গেল বছরের ২২ এপ্রিল ৪৭ তম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে কুমারখালী থানায় যোগদান করেছিলেন মজিবুর রহমান। যোগদানের পরপর চৌকস ও সুকৌশল চিন্তা ভাবনা দিয়ে থানার সকল অফিসার ফোর্সের মধ্যে একটু চেইন ইন কমান্ড সেতুবন্ধন তৈরি করেন। সৃষ্টিশীল চিন্তা চেতনা থেকে থানার সৌন্দর্য বর্ধণের লক্ষ্যে থানার মূল ফটকে একটি দৃষ্টিনন্দন পানির ফোঁয়ারা, একটি প্যারেড গ্রাউন্ড স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
আরো জানা যায়, থানার ওসির কোয়াটারের সামনে এক সময় জলাবদ্ধতা ছিল। ঘাস লতা পাতা আর মশা মাছির আবসভূমি ও জঙ্গলে পরিনিত ছিল। এছাড়াও কোয়াটার ভবনটি ছিল ব্যবহারের অনুপযোগী ও জরাজীর্ণ। ওসি মজিবুর সৃজনশীল ধ্যান ধারনা থেকে কোয়াটারের সামনে একটি দৃষ্টিনন্দন নিরাপদ পার্ক স্থাপন করেছেন এবং কোয়াটার ভবনটি বাসযোগ্য করে তুলেছেন।
এছাড়াও সুমিষ্টভাষী ও সদ্যলোপী আচরণ ও ব্যবহার দিয়ে খুব অল্পদিনেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। নজর কেড়ে ছিলেন জনজনের। সাধারণ জনগণের সেবা করতে ২৪ ঘণ্টা নিরলস কাজ করেছেন। শুধু জনগণের কাছে নয়, থানার সকল অফিসার ফোর্সের কাছেও ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন ওসি মজিবুর রহমান।
জানা যায়, ওসি মজিবুর রহমান কুমারখালী থানাকে মডেল থানায় রূপান্তিত করার লক্ষ্যে পানির ফোয়ারা, দৃষ্টিনন্দন পার্কসহ থানার অবকাঠামোগত উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তবে তিনি দৃষ্টিনন্দন গেইট নির্মাণ, একটি কনফারেন্স রুমসহ বেশকিছু কাজ বাদ রেখেই জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষের আদেশে বদলি হয়েছেন।
কুমারখালী থানায় সদ্য যোগদানকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, দল বেদল দেখা হবেনা। কোন অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবেনা। সাধারণ জনগণকে সর্বোচ্চ ভোগান্তিমুক্ত সেবা দেওয়া হবে। সেবার মান নিশ্চিত করতে বিট পুলিশিং কার্যক্রম আরো বেগবান করা হবে। কিশোর গ্যাং দমনে কার্যকারী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, থানার সৌন্দর্য বর্ধণে বিদায়ী ওসির অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম গুলো চলমান থাকবে।
এরআগে বিকেলে বিদায়ী সংবর্ধণায় বিদায়ী ওসি মজিবুর রহমান আবেগঘন বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, চাকুরী সেবানে সেরা টিম কুমারখালীতে পেয়েছি। অফিসার, ফোর্স ও সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগীতায় সম্মিলিত কাজ করার চেষ্টা করেছি। এখানে বন্ধুর মত সঙ্গী পেয়েছি।
Leave a Reply